ডিজিটাল মার্কেটিং পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরির জন্য সবচেয়ে কার্যকর টুলগুলোর মধ্যে একটা। এটা আপনাকে সঠিক দর্শকের সামনে পৌঁছাতে, নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করতে এবং একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি গড়ে তুলে পারসোনাল ব্র্যান্ড বানাতে সাহায্য করবে দারুণভাবে। কয়েকটা কৌশল বলি, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং, আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ে কাজে লাগতে পারে—
১. কনটেন্ট মার্কেটিং:
ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ভিডিও, এবং পডকাস্টের মাধ্যমে নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা৷
শিক্ষামূলক ও ইন্সপিরেশনাল কনটেন্ট তৈরি করে নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির একজন থটলিডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব৷ থটলিডার হলো, আপনি একটা ইন্ডাস্ট্রি বা কাজ বা এনিথিং সম্পর্কে আপনার পয়েন্ট অফ ভিউ। আপনি কিভাবে চিন্তা করছেন, আপনার জ্ঞান কতটুকু সেটার জানান দেওয়া।
২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
ফেসবুক, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ইউটিউবের মতো ফ্রি সোস্যাল ইন্টারেশন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব, পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা তুলে ধরা। ভাই, আমি মনে করি, ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম-ইউটিউব যদি, পেইড করে ফেলা হতো, তবে বাংলাদেশের ৯০% মানুষ তা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতো। আর আমাদের বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আমরা ফ্রি জিনিসকে ইউটিলাইজ করতে পারি না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগান ভাই, অনেক দূর আগাতে পারবেন ফাস্টলি।
ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করেন এবং দর্শকদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট বা এনগেজ করার চেষ্টা করেন। দর্শককেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন৷
৩. SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন):
নিজের নাম এবং ব্র্যান্ডের জন্য SEO অপটিমাইজ করা কনটেন্ট তৈরি করেন, যাতে কেউ সার্চ করলে আপনার প্রোফাইল বা ওয়েবসাইট সহজেই খুঁজে পায়। বা নিজের নামটাই একবার গুগলে সার্চ করে দেখেন তো কি আসে? আসে কিছু ? তার মানে আপনার ভিজিবিলিটি একদম কম। আপনি চাইলেই ব্লগার ডট কম দিয়ে একটা ফ্রি ওয়েবসাইট বানাইয়ে, ওখানে আপনার সব এচিভমেন্টস, কাজ , থিংকিং শেইয়ার করে এসিও করে রাখতে পারেন। যাতে মানুষ সার্চ করলেই আপনার নামটাই আগে আসে।
৪. ইমেইল মার্কেটিং:
একটি ইমেইল লিস্ট তৈরি করেন এবং নিয়মিতভাবে আপনার আপডেট, ইনসাইট ও এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট পাঠান। আপনার থটস, ইনিসিয়েটিভ, থিংকিং পাঠাতে পারেন। এছাড়াও ধরেন মানুষের জন্য এমন কিছু করতেছেন, যেইটা মানুষকে পারসোনালি জানানো প্রয়োজন, তাহলে এই ইমেইল মার্কেটিং আপনার জন্য দারুণ একটা টুলস হতে পারে। বাট অযথা পাঠাইয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করিয়েন না প্লিস।
৫. ভিডিও মার্কেটিং:
ইউটিউব বা রিলস/টিকটক-এর মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন যেখানে আপনি নিজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, এবং ব্যক্তিত্ব তুলে ধরতে পারেন। এখন যুগটাই ভিডিওর। মানেন ? আমরা যে প্রতিদিন কি পরিমাণ রিলস, লং ভিডিও কনজিউম করি, তা মনে হয় আমাদের খাবারের তুলনায় অন্নেক গুণ বেশি। এখন বলতে পারেন ভিডিও তো সবাই বানাচ্ছে, আমি কি নিয়ে বানাবো?
দেখেন, ভিডিও সবাই বানাচ্ছে। বাট সবার ভিডিও কি সবাই খায় ? আপনি কি সবার ভিডিও দেখেন ? নিশ্চয় না । সো, আপনার ভিডিও সবাই দেখবে একদম, এটা আপনি আশা করতে পারেন না। সো নিশ ওয়াইস আগানো ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট এবং তার চেয়ে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট হলো আপনার পারসোনাল ব্র্যান্ড অনুযায়ী সঠিক ভয়েস টোন মেইন্টেইন করে ভিডিও বানানো। এর জন্য আপনি আমার সাথে একটা স্ট্রং পারসোনাল ব্র্যান্ড গড়ে তোলার কন্সাল্টেন্সিতে বসতে পারেন। আমি হেল্প করবো প্রমিস।
টিপসঃ প্রতিদিনের "Behind the Scenes" কনটেন্ট তৈরি করে দর্শকদের কাছে আরও অ্যাথেন্টিক হয়ে উঠতে পারেন।
৬. পাবলিক রিলেশন ও গেস্ট পোস্টিং:
জনপ্রিয় ব্লগ, নিউজ পোর্টাল বা পডকাস্টে গেস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করুন। বা আপনার লেখা পাঠান। লিখেন, কথা বলেন, নিজেকে এক্সপ্লোর করেন। এইক্ষেত্রে পিয়ার আপনার একটা দারুণ টুলস হতে পারে। মিডিয়ার পাওয়ার কে ইউস করেন। মিডিয়াই আপনাকে একটা ওয়াইড রেঞ্জে মানুষের কাছে বিচরণ করতে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তার আগে আপনার নিজেকে এমন কিছু বানাতে হবে বা উদ্ভাবন করতে হবে, যা আসলে নিউজ করার যোগ্য। এক্ষেত্রে আবারো কি হেল্প করতে পারে ? উত্তর- পারসোনাল ব্র্যান্ডিং ফার্স্ট।
৭. ডাটা অ্যানালিটিক্স ও পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন:
আশা করি, আপনি বুঝে গেছেন কন্টেন্টই এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এখন আপনার কনটেন্ট বা ক্যাম্পেইন কেমন পারফর্ম করছে তা গুগল অ্যানালিটিক্স, ফেসবুক ইনসাইটস বা লিংকডইন অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যালোচনা ্করা শুরু করুন। কোন ধরণের কন্টেন্ট মানুষ বেশি খাচ্ছে, এংগেজমেন্ট কতটুকু। কিভাবে কতক্ষণ দেখতেছে, কত মিনিট বা সেকেন্ড দেখতেছে, তাদের বয়স- লোকেশন- ইন্টারেস্ট কি কি এই জিনিসগুলো পর্যালোচনা করে, সেই মোতাবেক কৌশল পরিবর্তন করে ভিডিও বা কন্টেন্ট বানান। আপনার পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য সবচেয়ে টুলস হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এবং এনালাইসিস। ট্রাস্ট মি।
শেষ কথা:
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এখন আর কল্পনাও করা যায় না। সঠিক কৌশল গ্রহণ করে, ধারাবাহিকভাবে কনটেন্ট তৈরি করে এবং ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে নিজেকে প্রচার করে আপনি সহজেই একটি শক্তিশালী পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন।
আপনি এই ক্রাউডেড দুনিয়ায় একটা স্ট্রং পারসোনাল ব্র্যান্ড বিল্ড করে, ২০ জন থেকে আলাদা থাকতে চান ? দ্রুত আমার সাথে একটা কনসালটেন্সি বুক করেন। " প্রচার " বাংলাদেশের প্রথম পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এজেন্সি, যেইটা আপনার সাথে আপনার ডিজাইয়ার্ড অডিয়েন্সের ব্রীজ হিসেবে কাজ করছে প্রতিনিয়ত।
.png)